সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

spot_img
spot_img

করোনায় অনলাইন ক্লাস: শিক্ষার্থীদের মাঝে কী সামাজিক বিভক্তি তৈরি করছে?

করোনা মহামারিতে বন্ধ আছে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার কোন সম্ভাবনা নেই। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে দূরপাঠ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাসও।

সংসদ টেলিভিশনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ক্লাস নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ক্লাসগুলো প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও থাকছে। তবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এই শিক্ষা গ্রহণ কিছুটা ব্যয় সাধ্য। এই শিক্ষা নিতে তাদের যেমন লাগবে টেলিভিশন সেট, তেমনি প্রয়োজন স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার। আর তাতে থাকতে  হবে ইন্টারনেট সংযোগ।

করোনায় পরিবারগুলোর আয় কমে যাওয়ায় যেখানে নিত্য দিনের খরচ মেটানো কষ্টকর,সেখানে এই ধরনের সুযোগ তৈরি করে শিক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীর। তাই না চাইলেও তাদের পড়তে হচ্ছে এক ধরনের সামাজিক বিভক্ততে।

যদিও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য হ্যান্ডনোট দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।

খুলনা শহরের রায়পড়া এলাকার বাসিন্দা জাকিয়া সুলতানা বলছিলেন,এমনিতেই পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাই। করোনায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে। স্কুলের বাইরে বাচ্চাদের কোচিং এ পড়ানোর সামর্থ নেই। সেখানে অনলাইন ক্লাসের জন্য কিভাবে সুযোগ তৈরি করবো?

ঢাকার বাইরে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরই অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ কম। খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত সিটি গার্লস স্কুলের তৃতয়ি থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত ১৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৫ জনের স্মার্টফোন সুবিধা আছে।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক শাহ জিয়াউর রহমান বলছিলেন,অনলাইন ক্লাস সুবিধা সবার জন্য নিশ্চিত করতে না পারলে এটা নিশ্চিত ভাবেই এক ধরনের বিভক্তি তৈরি করবে। যা দরিদ্রদের আরো দারিদ্র সীমায় নিয়ে যাবে।

খুলনার একজন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদের বলেন,প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সফলতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েই এই উদ্যোগ ঠিক মত সফল  হচ্ছে না, সেখানে বাচ্চাদের কিভাবে নিশ্চিত করা যাবে আমি জানি না।

খুলনার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন,করোনায় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মধ্যে রাখতেই অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা সত্য যে সবার ইন্টারনেট সংযোগসহ মোবাইল নেই। কিন্তু অনেকের হাতেই এটা আছে।

আর এখনতো প্রায় সব বাড়িতেই টিভি সেট আছে। টিভির ক্লাসগুলো ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউবে দেয়া  হচ্ছে। তিনি আশাবাদী, অনলাইন ক্লাসে সফলতা আসবে।

সূত্র:ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস (https://thefinancialexpress.com.bd/education/covid-19-online-classes-bring-social-divide-to-the-fore-1589692084)

মন্তব্য করুন:

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বাধিক পঠিত