২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে ধূমপান করার ঘোষণা এবং সে অনুযায়ী সরকার কাজ করে গেলেও সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ থেমে নেই।
দেশের সবচেয়ে বড় সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি) ৩২২ কোটি ২০ লাখ টাকা নতুন বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উৎস থেকে এই অর্থের যোগান দিবে পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে।
২৮ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় এই বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সাভারে ফ্যাক্টারি সম্প্রসারণের জন্য এই অর্থ ব্যয় করবে বিএটিবিসি।
এই সম্প্রসারণের মূল উদ্দেশ্য উৎপাদন বাড়ানো এবং সিগারেট রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগানো। বুধবার রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই মূল্য সংবেদনশীল তথ্য দিয়েছে বিএটিবিসি।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ সাভারের ফ্যাক্টারি সম্প্রসারণের জন্য ১৯২.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার অনুমোদন দিয়েছিল।
এই কোম্পানির সবচেয়ে পরিচিত সিগারেট ব্র্যান্ড গুলো হচ্ছে, বেসন এন্ড হেজেস, গোল্ডলিফ,স্টার, ডারবি, পাইলট, ক্যাপসটেন, হলিউড এবং রয়্যালস।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটির বর্তমানে শেয়ারের দাম সাড়ে ৫শ টাকার বেশি। ২৮ জুলাই শেয়ারের দাম ছিল ৫৬৫ টাকা। গেল এক বছরের শেয়ারের দাম ৫শ টাকা থেকে ১৮শ টাকার মধ্যে উঠানামা করেছে।
বিএটিবিসি শেয়ার হোল্ডারদের জন্য নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। গেল বছর ৬০০ শতাংশ নগদ ও ৬০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল।
বাংলাদেশের ধুমপান বিরোধী সংগঠনগুলো ধুমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দেশী-বিদেশি নতুন বিনিয়োগের সমালোচনা করলেও তা থেমে নেই।
বরং সরকারকে রাজস্বের যোগান দেয়া এবং পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠান অনেক এগিয়ে আছে।