করোনা হলেও শিশুদের পড়ালেখাতো থেমে থাকতে পারে না। বিশ্ব জুড়েই অনেকে দেশে চালু হয়েছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। কিন্তু এর জন্য যে ইন্টারনেট সংযোগ এবং তার সাথে কম্পিউটার, ল্যাপটব কিংবা স্মার্টফোন প্রয়োজন,সামর্থের অভাবে সেটা অনেকের নেই।
এজন্য তারা যুক্ত হতে পারছে না অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে। বিশ্বজুড়ে এমন শিশুদের সংখ্যা ৪৬ কোটি ৩০ লাখ। যা বিশ্বের মোট স্কুল পড়ুয়া শিশুর এক তৃতীয়াংশ। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ নতুন এক প্রতিবেদনে স্কুলবঞ্চিত শিশুদের এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সামর্থের অভাব ধনী ও গরিব শিক্ষার্থীর মধ্যকার প্রকট বৈষম্য তৈরি করছে। বিশ্বে অঞ্চলভেদে শিশুদের অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অসমতা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাব-সাহারা আফ্রিকায় স্কুলে পড়ুয়া যত শিশু আছে তাদের অর্ধেকই দূরশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বিশ্বের দেশে দেশে করোনাভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে এবং স্থানীয়পর্যায়ে লকডাউনের বিধিনিষেধের আওতায় প্রায় ১৫০ কোটি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুলশিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলবন্ধ থাকার এই সময়ে ১০০টি দেশের প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দূরশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য ঘরে থাকা প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি, বিশেষত ইন্টারনেট, রেডিও, টিভির সহজলভ্যতার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন তৈরি করেছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা ফোরে বলেছেন, কয়েক মাস ধরে বিপুল সংখ্যক স্কুলশিশুর পড়াশোনা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলশিশুদের এই ক্ষতির কথা ভেবে অনেক দেশই সম্প্রতি নিরাপদ ব্যবস্থা নিয়ে শিশুদের আবার স্কুলে ফেরানোর কথা ভাবছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনাও। এরই মধ্যে ইউনিসেফ বিশ্বে দূরশিক্ষণ বঞ্চিত বিপুল সংখ্যক শিশুর সাম্প্রতিক ওই পরিসংখ্যান দিল। শিশুদের স্কুলে ফেরা কতটা জরুরি-এ পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে।
সূত্র: বিডিনিউজ, বিবিসি