সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

spot_img
spot_img

বিশ্বে এক কোটি শিশু আর স্কুলে ফিরতে পারবে না: সেভ দ্যা চিলড্রেন

করোনার প্রভাবে শিশুদের শিক্ষা সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই মহামারি চলে গেলেও বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ কোটি শিশু আর তাদের প্রিয় স্কুলে ফিরতে পারবে না। শিশুদের নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সেভ দ্যা চিলড্রেন এমন সতর্কতা তুলে ধরছে।

ইউনেস্কোর তথ্য বলছে, করোনার ফলে এপ্রিল থেকে বিশ্বজুড়ে ১৬০ কোটি শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। এই সংখ্যা বিশ্বের মোট শিক্ষার্থীর ৯০ শতাংশ।

আরেক বেসরকারি সংস্থা সেভ আওয়ার এডুকেশন বলছে, এই প্রথম বিশ্ব জুড়েই পুরো একটি প্রজন্মের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলছে, করোনার অভিঘাতে পরিবারগুলোর আয় কমে যাওয়ায় দুর্যোগ পরবর্তী ৯ থেকে ১১.৭ কোটি শিশু দারিদ্রের কারণে আর স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না।

পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় অনেক শিশুই স্কুল ছেড়ে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে মেয়ে শিশুরা। বাল্য বিয়ের ঘটনাও বাড়ছে। পরিবারগুলোর আয় পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, ৯৭ লাখ শিশু স্থায়ী ভাবে ঝড়ে পড়বে। এক প্রতিবেদনে এমন সতর্কতা তুলে ধরেছে সেভ দ্যা চিলড্রেন।

এই পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ইঙ্গার অ্যাসিং বলেন, শিশুদের ঝড়ে পড়া ঠেকাতে শিক্ষাখাতের জন্য জরুরী তহবিল দিতে হবে। ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত শিক্ষা বাজেটের পরিমাণ হতে হবে ৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।

তবে করোনায়  জরুরী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে অনেক দেশের সরকার শিক্ষাখাতে মনোযোগ দিতে পারছে না। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারগুলোর পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোকেও শিশুদের ভবিষ্যত চিন্তা করে সাহায্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে দরিদ্র শিশুরা। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়ার মত সুযোগ তৈরির সামর্থ ওই সব শিশুদের পরিবারের নেই। ধনী দেশ গুলোর উচিত হবে, স্বল্প আয়ের দেশগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধ আপাতত স্থগিত রাখা। এতে ১ হাজার ৪’শ কোটি ডলার হাতে আসবে, যা শিক্ষা বাজেটে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে সেভ দ্যা চিলড্রেন।

বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ড এসডিজি অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের সকল শিশুকে মান সম্পন্ন শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। সেভ দ্যা চিলড্রেন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ আফ্রিকার ১২টি দেশের শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝড়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছে।

সূত্র: ডেকান হেরাল্ড

মন্তব্য করুন:

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বাধিক পঠিত