উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামে মানুষের হাত প্রাণ গেল অজগর সাপের। আতঙ্কিত হয়ে সাপটিকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে স্থানীয়রা।
মারার পর জানা যায়, সাপটি প্রায় ১৮ ফুট লম্বা ও প্রায় ৭৫ কেজি ওজন। স্থানীয়দের ধারণা সম্প্রতি বন্যার পানিতে সাপটি ভেসে ভারতেরর মেঘালয় রাজ্য থেকে বাংলাদেশের সীমানায় চলে এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এক কিশোর জানায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তারা সাপটিকে রাণীখং স্কুলের পাশে দেখতে পায়।এসময় অতি উৎসাহি হয়ে কয়েকজন চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় মানুষেরা এসে সাপটিকে ঘিরে ধরে।
পরে মোটা বাঁশ জোগাড় করে সাপটির মাথা বরাবর এলোপাথারি আঘাত শুরু করেন কয়েকজন। এতেই প্রাণ যায় বিলুপ্ত প্রায় অজগরটির। বিলুপ্ত প্রায় এই বন্য প্রাণীটিকে মেরে না ফেলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি কেউ।
অনেকে দাবি করছেন ১৫ বছর আগে একটি বাচ্চা অজগর স্থানীয় গোপালপুর পাহাড়ে অবমুক্ত করা হয়। এটিই হয়তো সেই অবমুক্ত করা অজগর সাপ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় ওখানে সাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। সাপটিকে হত্যা করা স্থানীয়দের ঠিক হয়নি। বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি এবং স্থানীয়দের সতেচন করেছি যাতে পরবর্তীতে বন্যপ্রাণী হত্যা থেকে তারা বিরত থাকে।