পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, জননেতা জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ২৪ ( জুলাই ) ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
বিশিষ্ট লোক সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের প্রথম নামাজে জানাজা আজ সকালে খিলগাঁওয়ের পল্লিমা সংসদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। পরে, গায়কের নশ্বর মৃতদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়।
যোহরের নামাজ শেষে রাজধানীর খিলগাঁও মাতিরে মসজিদে শেষ নামাজে জানাজার পরে তাকে তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
কোভিড -১৯ এর ইতিবাচক পরীক্ষার পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সম্প্রতি তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল।
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি সংগীত অঙ্গনে পা রাখেন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় ক্রান্তি শিল্পী গোস্তী এবং গনো শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দিয়েছিলেন ।
তাঁর বিখ্যাত কেরিয়ারে, “ও সোখিনা”, “শান্তাহার”, “নেলসন ম্যান্ডেলা”, “নাম তার ছিলো জন হেনরি”, “ব্যাংলার কমরেড বান্ধু” সহ তাঁর বেশ কয়েকটি গান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং স্মরণীয় সাফল্য অর্জন করেছিল।
১৯৯৯ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার ফকির আলমগীরকে একুশে পদক প্রদান করেন।