সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

spot_img
spot_img

বিপদসীমার উপরে তিস্তা-ধরলার পানি, খাদ্যসংকটে পানিবন্দী মানুষ

অব্যাহত ভারী বর্ষণ আর ঢলের তোড়ে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ক্রমেই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮৫ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৮১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি আশঙ্কাজনকহারে বাড়তে থাকায় জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো মানুষ।

বানভাসি মানুষের মধ্যে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়ায় উঁচু রাস্তা, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে হাজারো মানুষ। তবে নৌকার অভাবে অনেকেই নিরাপদ স্থানে যেতে পারছেন না।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সারডোবে বিকল্প বাঁধটি রক্ষার জন্য বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছিলো। কিন্তু তীব্র স্রোতের মুখে পানির প্রবল চাপে শেষ পর্যন্ত বাঁধটি রক্ষা হয়নি।

এদিকে, বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল তিস্তা নদীর পানি। এ অবস্থায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে তিস্তা বাঁধ ও বাঁধসংলগ্ন ফ্লাড বাইপাস এলাকায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড সোমবার সকালে পানি কিছুটা কমলে ৯টায় ওই রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার করা হয়।

পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তার চরের ১৫টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট। দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে।

মন্তব্য করুন:

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বাধিক পঠিত